বর্তমানে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ হয়েছে বিভিন্ন মাত্রা। গায়ের হলুদের আয়োজনেও এসেছে ভিন্নতা। আমাদের দেশে সাধারণত বর আর কনের গায়ে হলুদের আয়োজন আলাদা ভাবে হয়ে থাকলেও ইদানিংকালে একসাথেই আয়োজিত হচ্ছে বর ও কনের গায়ে হলুদ।বাংলাদেশী বিয়ের সবথেকে রঙিন এবং জাকজমকপূর্ণ হয়ে থাকে গায়ে হলুদের অংশ। এই অনুষ্ঠানে তাই বর আর কনের সাজও হওয়া চাই একদমই অসাধারণ। আজকের পোস্টে সেটা নিয়েই আলোচনা করছি।
১। কনের সাজ
একটা সময় ছিল যখন গায়ে হলুদের সাজ মানেই কনের হলুদ রঙের শাড়ি আর বরের সাদা রঙের পাঞ্জাবি। কিন্তু এখন যুগ বদলেছে, সাথে বদলেছে ফ্যাশনের রুচিও। আজকালকার কনেরা গায়ে হলুদে কেবলমাত্র হলুদই নয়, লাল, খয়েরি, সবুজ, এমনকি সাদা রঙের শাড়িও পড়ে থাকেন। আর সাজগোজের জন্য কাঁচা ফুল এবং প্লাস্টিকের ফুল উভয়ই ব্যবহার করা হয়। মেটালের অলংকারের ওপরও ফুল দিয়ে সাজেন অনেকে।
হলুদের শাড়ির ক্ষেত্রে কটন শাড়ির ব্যবহারই সবথেকে বেশি দেখা যায় সাধারণত, তবে হাফ সিল্ক, সিল্ক কাতান অথবা জামদানিও পড়েন অনেকেই। গায়ে হলুদের জন্য অবশ্য হালকা কাজের শাড়িই ভালো। সাধারণ বাঙ্গালী সাজেই গায়ে হলুদের শাড়ি পড়া উচিত।
২। বরের সাজ

গায়ে হলুদে বরের প্রধাণ পোশাক হচ্ছে পাঞ্জাবি। সুতি, সিল্ক অথবা হাফ সিল্কের পাঞ্জাবিই গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে বেশি ব্যবহৃত হয়। পাঞ্জাবির রঙ নির্ধারণ করা উচিত বরের গায়ের রঙ, মুখের গড়ন ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হলুদের অনুষ্ঠানে বর এবং বরপক্ষের ছেলেরা হলুদ, লাল, সাদা অথবা বেগুনী রঙের পাঞ্জাবি পড়ে থাকেন।
৩। জুতা
বিয়ের অনুষ্ঠানে সাজসজ্জা ও পোশাকের পাশাপাশি প্রয়োজন হলো জুতা। বর-কনে উভয়ের জুতা হতে হবে অনুষ্ঠানের উপযোগী। যে জুতাগুলো পরতে কষ্ট হয় তা না পরাই ভালো। কনে শাড়ি বা লেহেঙ্গার সাথে উঁচু হিল পরতে পারে। আর বরের জন্য বিয়েতে পাঞ্জাবির সাথে নাগরা মানানসই হতে পারে। বউভাতে স্যুট প্যান্টের সঙ্গে পরতে পারেন জুতা। এক্ষেত্রে জুতার রং স্যুট-প্যান্টের বিপরীত রং হলে ভালো হয়।
৪। মেক-আপের উপকরণ
আলমাস সুপার শপ, প্রিয় সুপার শপ, গুলশানের প্যারিস পারফিউম, পারফিউম ওয়ার্ল্ড, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, নাভানা টাওয়ার, বনানী মৈত্রী শপিং কমপ্লেক্স, বেইলি রোডের স্টার ডাস্ট ও স্টার ওয়ার্ল্ড, পিঙ্ক সিটিতে পাওয়া যাবে ব্র্যান্ডেড এবং নন-ব্র্যান্ডেড পারফিউম, মেকআপ ও কসমেটিক।